'ভালোবাসা যদি অপরাধ হয় তাহলে জেলে যেতেও তৈরি রিয়া'

 রিয়া সুশান্তকে ভালোবেসেছিল। তা ভালোবাসার পরিনাম যদি এই হয় তাহলে ও সবরকম শাস্তি ভোগ করতে রাজি। দেশবাসীতো ওঁকে ডাইনি বানিয়ে দিয়েছে






গ্রেফতার হতে রাজি রিয়া



  • যদি কাউকে ভালোবাসা অপরাধ হয়, তাহলে তার শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি আমার মক্কেল।
  • মানসিক ভাবে জেলে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুত।
  • একটা নির্দোষ নিষ্পাপ মেয়েকে মিডিয়া আর দেশবাসী মিলে ডাইনি বানিয়ে ফেলেছে

শুক্রবার সন্ধেতেই নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো গ্রেফতার করে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে রাঁধুনি দীপেশ সাওয়ান্তকে। শনিবারই রিয়াকে সমন পাঠায় এনসিবি। সেই মতো রবিবার সকালেই এনসিবির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন রিয়া। রবিবার বেলা ১১.২৫ নাগাদ রিয়া বেরোন তাঁর বাড়ি থেকে। ১২.৩০ থেকে শুরু হয় জেরাপর্ব। শৌভিককে সামনে বসিয়ে জেরা করা হবে রিয়াকে এমনটাই শোনা গিয়েছিল।

৯ সেপ্টেম্বর অবধি পুলিশি হেফাজতে থাকবে শৌভিক। চলবে জেরা। একদিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেশ কিছুজনের নাম বলেছে শৌভিক। শৌভিক কতটা সত্যি বলছেন বা এই চক্রের পেছনে আরও কে কে চাইছে সে বিষয়ে বিশদে জানতেই ভাই-বোনকে মুখোমুখি বসিয়ে চলবে জেরা। শনিবার বিকেলে এনসিবি মুম্বই আদালতকে জানায়, চুরি, ছিনতাই, অপরাধমূলক কিছু ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা এর পেছনে সেদিকও দেখা হচ্ছে। কারণ শৌভিক ছাড়া অন্য এক ধৃতের থেকে সেরকম আভাষ তাঁরা পেয়েছন।

মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ ছিল অপরাধ জগতের। এছাড়াও ড্রাগ কেনাবেচার এই আর্থিক লেনদেন কীভাবে হত তাও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। আর্থিক লেনদেনের এই বিষয়টি এনসিবি এর সঙ্গে দেখবে ইডিও। রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আঙুল তুলেছেন সুশান্তের পরিবার। অভিনেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং অতিরিক্ত মাদক খাইয়ে সুশান্তকে খুন করেছেন রিয়া বারবার এই অভিযোগই আসছে। মানসিক চাপ থেকেই সুশান্ত বাধ্য হন আত্মহত্যা করতে, পরিবারের দাবি এমনটাই।


এরপর দফায় দফায় চক্রবর্তী পরিবারকে জেরা করে সিবিআই। আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বেআইনি লেনদেনের হিসেব এখনও তাঁরা পাননি। শুক্রবার সকালেই NCB টিম হানা দেয় রিয়াদের আবাসনে। সেখান থেকে কোনও মাদক না পেলেও মাদক -কাণ্ডে শৌভিকের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েই গ্রেফতার করে তাঁকে। এছাড়াও ধৃত দুই মাদক পাচারকারীর থেকে ৫৬ কেজি গাঁজা পাওয়া গিয়েছে। এদিন সকালে রিয়া এনসিবির দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় তাঁর আইনজীবী কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। সতীশ মানশিন্ডে বলেন, 'যদি কাউকে ভালোবাসা অপরাধ হয়, তাহলে তার শাস্তি মাথা পেতে নিতে রাজি আমার মক্কেল। মানসিক ভাবে জেলে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুত। একটা নির্দোষ নিষ্পাপ মেয়েকে মিডিয়া আর দেশবাসী মিলে ডাইনি বানিয়ে ফেলেছে। বিহার পুলিশ রিয়ার বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করেছে কিংবা ED,NCB, CBI যে সব অভিযোগ এনেছে , কোনও দফতরেই আগাম জামিনের আবেদন করেননি রিয়া'।



Post a Comment

0 Comments