ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে কঙ্গনা-রাউত তরজা, VIDEO বার্তা অভিনেত্রীর

 শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের দাবি, কঙ্গনা রানাউত মহারাষ্ট্রবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলে তবেই তিনি 'হারামখোর লড়কি' বলার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা ভাববেন। আবার, কঙ্গনার দাবি, সঞ্জয় রাউত বা মুম্বই পুলিশ পুরো মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধি নন!




কঙ্গনা রানাউত এবং শিবসেনার তরজায় ফের নয়া মোড়। একদিকে, শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের দাবি, অভিনেত্রী মহারাষ্ট্রবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলে তবেই তিনি 'হারামখোর লড়কি' বলার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা ভাববেন। উল্টোদিকে, কঙ্গনার দাবি, সঞ্জয় রাউত বা মুম্বই পুলিশ পুরো মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধি নন!

সমস্যার সূত্রপাত কঙ্গনার একটি টুইট থেকে। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর কঙ্গনা লিখেছিলেন, 'একজন বড় তারকা খুন হওয়ার পর আমি মাদকচক্র, সিনেমার মাফিয়া চক্র নিয়ে কথা বলেছি। আমি মুম্বই পুলিশকে বিশ্বাস করি না, কারণ তারা সুশান্ত সিং রাজপুতের অভিযোগকে পাত্তা দেয়নি। সুশান্ত সকলকে বলতেন, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, শেষ পর্যন্ত তাঁকে মেরেই ফেলা হল! আমিও নিরাপদবোধ করছি না, তার মানে কি আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বা মুম্বইকে ঘৃণা করি?'

কঙ্গনার এই মন্তব্যের জবাবে রাউত বেশ কড়া ভাষায় জানান, 'আমাদের অনুরোধ, উনি (কঙ্গনা) যেন আর মুম্বইয়ে না আসেন। এটা মুম্বই পুলিশের অপমান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচিত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।' রাজ্যসভার সাংসদ রাউতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হুমকির অভিযোগ তুলে অভিনেত্রী বলেছিলেন, 'মুম্বইকে কেন পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মতো মনে হচ্ছে? আমি ৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই আসব। কারও বাবার ক্ষমতা থাকলে আমাকে আটকে দেখাক!' এর জবাবেই একটি সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক শব্দ ব্যবহার করেন রাউত।

সে ব্যাপারে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জোরদার হয়। তাতে রাউতের বক্তব্য, 'উনি যদি মহারাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চান, তা হলে আমি ক্ষমা চাওয়ার কথা ভেবে দেখব। উনি (কঙ্গনা) মুম্বইকে মিনি পাকিস্তান বলছেন। আমেদাবাদ সম্পর্কে একই কথা বলার সাহস ওঁর রয়েছে?' কঙ্গনার বিজেপি ঘনিষ্ঠতাকে কটাক্ষ করেই এই মন্তব্য।জবাবে কঙ্গনা রবিবার বলেন, 'রাউতজি, আমি মুম্বই পুলিশ বা আপনার সমালোচনা করলে আপনি বলতে পারেন না আমি মহারাষ্ট্রের অপমান করছি। আপনারাই পুরো মহারাষ্ট্রের প্রতিনিধি নন!'


এ দিকে, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে দিয়ে সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য মাদক আনাতেন। সুশান্ত মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর কাছে জেরায় এ কথা মেনে নিয়েছেন বলে দাবি করেছে একটি সূত্র। জানা গিয়েছে, সোমবার ফের রিয়ারে জেরা করবে NCB।

সূত্রের দাবি, রিয়া চক্রবর্তী এনসিবি আধিকারিকদের বলেছেন যে, ১৭ মার্চ স্যামুয়েল মিরান্ডা যে জায়েদের থেকে মাদক কিনতে গিয়েছিলেন, তা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন। তিনি নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি শুধু জানতেন এমনটাই নয়, তিনি তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী ও মাদক পাচারকারী জায়েদের মধ্যে কোঅর্ডিনেশনের কাজও করতেন।


Post a Comment

0 Comments